তাস পরিচিতি:-
এক ডেক প্লেয়িং কার্ডে জোকার বাদে ৪ স্যুটের মোট ৫২টি কার্ড থাকে। প্রত্যেক স্যুটে আবার ১৩টি করে কার্ড থাকে।
স্যুটঃ
প্রত্যেক কার্ডে একটি সংখ্যা আর একটি করে প্রতীক আঁকা থাকে।
প্রতীকগুলা হল,
♥ ♦ ♣ ♠ ।
এই ৪টি প্রতীকের ভিত্তিতে এক ডেক কার্ডকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণীকেই ইংরেজিতে আমরা স্যুট বলছি। প্রত্যেক স্যুটে ১৩টি এবং চার স্যুটে মোট ১৩ x ৪ = ৫২টি কার্ড থাকে
এক স্যুটের ১৩টি কার্ডঃ
এক স্যুটের ১৩টা কার্ড হল. 2-3-4-5-6-7-8-9-10-J-Q-K-A
বিভিন্ন কার্ডের স্যুট কার্ড দেখানো হল,





এক স্যুটের ১৩টা কার্ড হল. 2-3-4-5-6-7-8-9-10-J-Q-K-A
বিভিন্ন কার্ডের স্যুট কার্ড দেখানো হল,





তাস খেলার আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে প্রায় ছয়শত বছরেরও বেশি সময় আগে পঞ্চদশ শতকে। বিশ্বে প্রথম তাস খেলার প্রচলন ঘটে চীনে। খ্রিস্টীয় নবম শতকের দিকে টাং রাজার রাজত্বকালে অন্তঃপুরবাসী রানীরা তাস খেলে সময় কাটাতেন। তখন খেলার তাস হিসেবে পয়সা ও প্লেট ব্যবহার করা হতো। এ খেলা দ্রুত ভারতবর্ষেও তখন ছড়িয়ে পড়ে এবং খেলার তাস হিসেবে তখন রিং, তলোয়ার, কাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে। তবে ৫২ তাসের খেলা প্রচলন করে প্রাচীন মিশর। তারা এই তাস চারজন মিলে খেলত। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারজন মিলে যেভাবে তাস খেলা হয়, সেটা মিশর উদ্ভাবন করেছিল খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত এই খেলা রাজপরিবার এবং সৈন্য-সামন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে জার্মানির রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাসের নামেও আসে পরিবর্তন। ক্ষমতানুযায়ী তাসের নাম দেওয়া হয় রাজা-রানী, জোকার ইত্যাদি। বর্তমানে এই খেলা এত বেশি জনপ্রিয় যে, তা মোবাইল ও কম্পিউটারের ভেতরেও ঢুকে গেছে।
চীন থেকে যারা গাধার পিঠে করে অথবা হাতিতে করে মালামাল বিভিন্ন দেশে নিয়ে যেত অথবা বাণিজ্যিক কারণে যারা চীনে আসত তাদের মাধ্যমে তাস খেলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মামলুক শাসকরা এ খেলার নাম দিয়েছিল ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ। মামলুকরা বিশেষ করে মিশরে বায়ান্ন তাস দিয়েই এ খেলার প্রচলন রেখেছিল; কিন্তু তাদের তাসের প্রতীকগুলো ছিল ভিন্ন ধরনের। তারা ১-১০ নং কার্ডকে কোর্ট কার্ড হিসেবে ধরে কিং কুইন এবং ভিজির চিহ্নিত একটি কার্ডও রাখত। ভিজির রুশ শব্দ, এর অর্থ হল উজির। মামলুক সম্রাটের কোনো এক উজিরের নাম ছিল নাইয়িব। তিনি এ খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন বলে মিশরে ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ নামে এই খেলার প্রসার ঘটেছিল।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপের দেশগুলোতে তাস খেলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপীয় শাসকরা একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কারণ ওই সময় এ খেলাটি বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যাপকভাবে জুয়া হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে; কিন্তু ইউরোপীয় রাজন্যবর্গের নিষেধাজ্ঞা মোটেই কার্যকর হয়নি। জোহানবার্গের প্রিন্টিং মেশিন আবিষ্কারের ফলে বিপুল পরিমাণের তাস ছাপা হয়ে ইউরোপীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় শাসকবর্গ এটাকে গ্রহণ করে নেয় সঙ্গে সঙ্গে গামবুলিংও অলিখিতভাবে স্বীকৃত হয়ে যায়। তাসের প্রতীকগুলো হল দৃশ্যমান কিছু ছবি। এতে ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন থাকে। এর মধ্যে প্রত্যেকটিরই রাজা, রানি এবং গোলাম আছে এবং এর সঙ্গে নির্দিষ্ট নম্বর মারা প্রত্যেকটি রঙ এবং প্রতীকের কিছু তাস রয়েছে। অবশ্য একই প্রতীক নিয়ে বা তাসগুলোর মান ও নাম একই রকমভাবে; কিন্তু বিশ্বের সব দেশে প্রচলন হয়নি। ইতালিতে রাজা ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার ডোনা বা রানি এবং অন্য তাসগুলোতে সৈনিক হিসেবে কল্পনা করে তাস খেলা প্রসারের প্রথম দিকে খেলা আরম্ভ হয়, পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘোড়সওয়ারের সঙ্গে শিকারি। যে রাজহাঁস বা হরিণ শিকার করে এবং রাজহাঁস বা হরিণের ছবি সংবলিত তাসও বায়ান্ন তাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়; কিন্তু তাসের সংখ্যা বায়ান্নই থেকে যায়।
ফ্রান্সে ১৪৮০ সালে যখন তাস খেলার প্রচলন ঘটে, তখন তাদের তাসগুলো ছিল ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তরবারিধারী রাজা এবং একচক্ষু রানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন এই খেলা প্রথম প্রবেশ করে তখন এই খেলার মধ্যে তারা নতুন একটি নিয়ম সংযোজন করে, যাকে তারা বলত ট্রয়নকি। বর্তমানে এই শব্দটি থেকে ট্রাম শব্দটি এসেছে।
তাসের চারটি প্রতীক পঞ্চদশ শতকের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পরিচয় বহন করে । আবার তাসের ছবিগুলোতে উপস্থাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক নানা ব্যক্তিত্বের। প্রথম দিকে তাসের প্যাকেটে ৭৮ টি তাস থাকত। কিন্তু এতগুলো তাস নিয়ে খেলা জটিল ও কষ্টকর হয়ে ওঠায় তাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। তবে হ্রাসকৃত সংখ্যার মধ্যে যে তাসটি এখনো সগৌরবে টিকে আছে সেটি হলো জোকার। খেলুড়েদের কাছে এই তাসটি সুপার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে পরিচিত।
আমরা সবাই জানি যে ৫২ টা তাসের ৫৩ টা খেলা রয়েছে। তবে সেই ৫৩ টা খেলার সব গুলোর নাম জানা না থাকলেও, আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত তাসের কিছু বিখ্যাত খেলার নাম এখানে উল্লেখ করে দেওয়া হলোঃ
ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ;
☞ থ্রি কার্ড;
☞ লেম্বু;
☞ টুয়েন্টি নাইন;
☞ আই বি;
☞ ব্রে/হার্টস;
☞ নাইন কার্ড;
☞ হাজারী;
☞ ফ্যাশন;
☞ পোকার;
☞ দশের ডাক;
☞ ফাইভ কার্ড;
☞ কল ব্রীজ;
☞ কাইট খেলা;
☞ জোড়া মিলানো;
☞ স্পাইডার;
☞ স্পেড টার্ম;
☞ কন্ট্রাক্ট ব্রীজ;
☞ ৯ তাস ইত্যাদি।
প্রধান চারটি তাস কিসের প্রতীক বহন করে চলেছে এবার সেটা জানা যাকঃ-
=> ডায়মন্ডস হলো ধনী শ্রেণীর প্রতীক। তখনকার সময়ে এরা ছিলো শাসক শ্রেণী। ডায়মন্ডস দিয়ে তাদের ধনদৌলত-ঐশ্বর্য কে বোঝানো হতো।
=> স্পেডসের হলো সৈন্যের প্রতীক । স্পেড শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ স্পাডা থেকে। যার অর্থ তরবারি।
=> হার্টস পাদ্রিদের প্রতীক। আগে প্রতীকটির আকার ছিল পান পাতার মতো। পরে অবশ্য সেটা পরিবর্তন হয়ে হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের আকার পায়।
=> ক্লাবস বলতে বোঝানো হতো গরিব মানুষদের। ইংরেজি ক্লাবের বাংলা হলো মুগুর। গরিব শ্রেণীর মানুষের মুগুরই সম্বল এরকম একটা অর্থ বহন করে এই তাসটি।
=> স্পেডসের হলো সৈন্যের প্রতীক । স্পেড শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ স্পাডা থেকে। যার অর্থ তরবারি।
=> হার্টস পাদ্রিদের প্রতীক। আগে প্রতীকটির আকার ছিল পান পাতার মতো। পরে অবশ্য সেটা পরিবর্তন হয়ে হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের আকার পায়।
=> ক্লাবস বলতে বোঝানো হতো গরিব মানুষদের। ইংরেজি ক্লাবের বাংলা হলো মুগুর। গরিব শ্রেণীর মানুষের মুগুরই সম্বল এরকম একটা অর্থ বহন করে এই তাসটি।
তাসের গায়ের ছবিগুলোরও ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাঃ-
ইস্কাপন বা স্প্রেডসঃ-
কিং অব স্প্রেডস হলো রাজা ডেভিড, গোলিয়াথের হত্যাকারী। বাইবেল অনুযায়ী এই রাজা ইসরাইল শাসন করেছিলেন। বাইবেলে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্টের পূর্বপুরুষ। এই বিখ্যাত রাজার বৈশিষ্ট হলো তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করেন না। এবং তিনি সব সময় বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেন।
কিং অব স্প্রেডস হলো রাজা ডেভিড, গোলিয়াথের হত্যাকারী। বাইবেল অনুযায়ী এই রাজা ইসরাইল শাসন করেছিলেন। বাইবেলে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্টের পূর্বপুরুষ। এই বিখ্যাত রাজার বৈশিষ্ট হলো তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করেন না। এবং তিনি সব সময় বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেন।
এই তাসের রানী হলেন গ্রিক যুদ্ধ দেবী প্যালাস, যিনি দুই হাতে ধরে আছেন তরবারি ও ফুল।
হার্টস বা হরতনঃ-
কিং অব হার্টস এর ছবি আঁকা হয়েছে বিখ্যাত রাজা শার্লেমেন বা চার্লস এর অনুকরণে যিনি ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন অর্ধেক ইউরোপ। তাসে দেখা যায়, এই রাজা তার তলোয়ারটি নিজের মাথায় ঠেকিয়ে নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। তাই অনেকে এই রাজাকে আত্মঘাতী রাজাও বলে থাকেন। আরও একটি চমৎকার বিষয় লক্ষনীয় যে, 'তাসের রাজাদের মধ্যে একমাত্র হার্টসের রাজারই কোন গোঁফ নেই'।
কিং অব হার্টস এর ছবি আঁকা হয়েছে বিখ্যাত রাজা শার্লেমেন বা চার্লস এর অনুকরণে যিনি ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন অর্ধেক ইউরোপ। তাসে দেখা যায়, এই রাজা তার তলোয়ারটি নিজের মাথায় ঠেকিয়ে নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। তাই অনেকে এই রাজাকে আত্মঘাতী রাজাও বলে থাকেন। আরও একটি চমৎকার বিষয় লক্ষনীয় যে, 'তাসের রাজাদের মধ্যে একমাত্র হার্টসের রাজারই কোন গোঁফ নেই'।
তার তাসের রানী হলেন বাইবেল উল্ল্যেখিত নায়িকা জুডিথ। যিনি রাজার তরবারির এক আঘাতে এক আসিরিয়ান সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন।
ডায়মন্ডস বা রইতনঃ-
কিং অব ডায়মন্ডস হলেন রোমের বিখ্যাত শাসক, রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক রাজা জুলিয়াস সিজার। রোম সম্রাজ্যের উত্থানে এই প্রভাবশালী শাসকের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। তিনি খুবই দক্ষতার সাথে রোমের রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রন করে গেছেন। আরও একটি মজার বিষয় হলো, তাসের রাজাদের মধ্যে সব রাজারই মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও একমাত্র রইতনের রাজারই মুখ অর্ধেক দেখা যায়।
কিং অব ডায়মন্ডস হলেন রোমের বিখ্যাত শাসক, রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক রাজা জুলিয়াস সিজার। রোম সম্রাজ্যের উত্থানে এই প্রভাবশালী শাসকের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। তিনি খুবই দক্ষতার সাথে রোমের রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রন করে গেছেন। আরও একটি মজার বিষয় হলো, তাসের রাজাদের মধ্যে সব রাজারই মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও একমাত্র রইতনের রাজারই মুখ অর্ধেক দেখা যায়।
কুইন অব ডায়মন্ডস হলেন তার স্ত্রী র্যাচেল।
ক্লাবস বা চিড়িতনঃ-
কিং অব ক্লাবস হলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে পৃথিবীর প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন। গ্রিসের মেসিডোনিয়ার এই সম্রাটের নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগের চিড়িতন তাসে পৃথিবীর মানচিত্রের গোলক থাকত, কিন্তু পরে তার আলখেল্লায় গোলকটি আঁকা হয়।
কিং অব ক্লাবস হলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে পৃথিবীর প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন। গ্রিসের মেসিডোনিয়ার এই সম্রাটের নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগের চিড়িতন তাসে পৃথিবীর মানচিত্রের গোলক থাকত, কিন্তু পরে তার আলখেল্লায় গোলকটি আঁকা হয়।
কুইন অব ক্লাবস হলেন একমাত্র ইংরেজ মহিলা। যিনি আর কেউ নন ব্রিটিশ রানী প্রথম এলিজাবেথ। তার গোলাম হলেন রাউন্ড টেবিলের বিখ্যাত নাইট, স্যার ল্যান্স লট।
টেক্কা:
সব চেয়ে সেরা তাস হচ্ছে ইস্কাপনের টেক্কা। একে ‘হেড অব দি প্যাক’ বলা হয়। ইংল্যাণ্ডে যখন প্রথম তাস খেলার প্রবর্তন হল তখন তাসের উপর দুর্দান্ত ট্যাক্স বসানো হয়েছিল। তাস প্রস্তুতকারক প্রত্যেক ফার্মকে এক কুড়ি ইস্কাপন টেক্কার তাস এক সঙ্গে ছাপা হয় এমন একটি প্লেট তৈরি করে সরকারকে দিতে হত। এই প্লেটের সাহায্যে ইস্কাপন টেক্কার সব তাসই সরকারি ছাপাখানা অর্থাৎ সমারসেট হাউসে ছাপা হত। কোম্পানির নিজস্ব নাম ও মার্কা এই তাসের উপর লেখা থাকত। প্রত্যেক কুড়িটি টেক্কার সিটের জন্য তাস ব্যবসায়ীকে দিতে হত এক পাউণ্ড এবং প্রতি একশো জোড়া তাসের জন্য ট্যাক্স লাগত পাঁচ পাউণ্ড। সে যুগে এক প্যাক তাসের দাম ছিল অনেক বেশি। কম করে হলেও এক প্যাক তাসের দাম এক গিনি। ফলে তাস খেলাটা অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ব্রিটেনে ট্যাক্স কমে তিন পেন্সে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইস্কাপনের টেক্কাকে স্প্যাডিলও বলা হত। আলেকজাণ্ডার ডুমা তাঁর লেখায় বলেছেন যে, 'শিশু নেপোলিয়নের ভাগ্য গণনার সময় কর্সিকার ডাইনি বুড়ি কড়াইতে যে ঐন্দ্রজালিক পাঁচন জ্বাল দিয়েছিল তার অন্যতম উপাদান ছিল স্প্যাডিল।'
সব চেয়ে সেরা তাস হচ্ছে ইস্কাপনের টেক্কা। একে ‘হেড অব দি প্যাক’ বলা হয়। ইংল্যাণ্ডে যখন প্রথম তাস খেলার প্রবর্তন হল তখন তাসের উপর দুর্দান্ত ট্যাক্স বসানো হয়েছিল। তাস প্রস্তুতকারক প্রত্যেক ফার্মকে এক কুড়ি ইস্কাপন টেক্কার তাস এক সঙ্গে ছাপা হয় এমন একটি প্লেট তৈরি করে সরকারকে দিতে হত। এই প্লেটের সাহায্যে ইস্কাপন টেক্কার সব তাসই সরকারি ছাপাখানা অর্থাৎ সমারসেট হাউসে ছাপা হত। কোম্পানির নিজস্ব নাম ও মার্কা এই তাসের উপর লেখা থাকত। প্রত্যেক কুড়িটি টেক্কার সিটের জন্য তাস ব্যবসায়ীকে দিতে হত এক পাউণ্ড এবং প্রতি একশো জোড়া তাসের জন্য ট্যাক্স লাগত পাঁচ পাউণ্ড। সে যুগে এক প্যাক তাসের দাম ছিল অনেক বেশি। কম করে হলেও এক প্যাক তাসের দাম এক গিনি। ফলে তাস খেলাটা অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ব্রিটেনে ট্যাক্স কমে তিন পেন্সে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইস্কাপনের টেক্কাকে স্প্যাডিলও বলা হত। আলেকজাণ্ডার ডুমা তাঁর লেখায় বলেছেন যে, 'শিশু নেপোলিয়নের ভাগ্য গণনার সময় কর্সিকার ডাইনি বুড়ি কড়াইতে যে ঐন্দ্রজালিক পাঁচন জ্বাল দিয়েছিল তার অন্যতম উপাদান ছিল স্প্যাডিল।'