১৬ গুটি


ষোল গুটি বাংলাদেশের গ্রামীণ পুরুষদের অন্যতম প্রধান খেলা ।১] অলস অবসরে গ্রামের যুবক ও মধ্যবয়সী পুরুষেরা ষোলগুটি খেলে। মাটিতে
দাগ কেটে শুকনো ডাল ভেঙ্গে গুটি বানিয়ে চলে এই দীর্ঘমেয়াদি খেলা। খেলার এত সহজ সরঞ্জাম গ্রামবাসীর উৎসব মুখর মনের
বহিঃপ্রকাশকেই প্রমাণ করে।

"খেলার নিয়মাবলী"

সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। প্রতি পক্ষেই ১৬টি করে গুটি থাকে।
শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর
জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর
করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে

প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। তবে
অঞ্চলভেদে ১৩টি কিংবা নির্দিষ্ট সংখ্যক গুটি খেয়ে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে খেলা শুরুর আগেই সংখ্যাটি ঠিক করে নেয়া হয়। ষোল গুটির আর একটি রূপান্তর হলো
বাঘ ছাগল খেলা। এক পক্ষ ষোলটি গুটি নেয় এবং অন্য পক্ষ একটি গুটি নিয়ে বাঘ ছাগল খেলা
খেলে। একটি গুটিকে বাঘ এবং ষোলটি গুটিকে ছাগল বলে। বাঘের কোনাকুনি এবং লম্বালম্থি
সব ধরনের গতিই বৈধ। ছাগল বা ষোল গুটির চাল অন্য খেলার মতই। ১৬ গুটি দিয়ে বাঘের চাল
বন্ধ করে দিতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। আর বাঘ চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের সবগুলো গুটিকে
খেয়ে নিতে। ১৬ গুটি খেলাটির সবচেয়ে আধুনিক সংস্করন বর্তমানে আক্তয়েড প্লাটফর্মের জন্য
ডেভেলাপ করা হয়েছে। এই ত্যাপ্রিকেশনটি গুগল প্লে স্টোর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।