লাঠি খেলা:

 শক্তি ও কৌশলের খেলা। মানুষ আত্মরক্ষা, শিকার ও যুদ্ধের জন্য বহু প্রাচীনকাল থেকেই লাঠির ব্যবহার করে আসছে। বাংলাদেশে কিছুকাল আগে পর্যন্ত জমিদাররা যোদ্ধা হিসেবে লাঠিয়াল রাখত। চরাঞ্চলের মানুষ এখনও লাঠির জোরে চর দখল করে। মুহরমের উৎসব শুরু হলে লাঠিয়ালরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন ভঙ্গিতে লাঠিখেলা প্রদর্শন করে। মুহরমের শোভাযাত্রার অগ্রভাগে থেকে খেলোয়াড়রা লাঠিখেলার কসরৎ দেখায়। এটা হচ্ছে যুদ্ধের কৃত্রিম মহড়া।...
 অতীতে ধনিগৃহে বিবাহোপলক্ষে লাঠিখেলার আয়োজন হতো।তিন-চার হাত লম্বা ও পরিমিত ব্যাসের তৈলাক্ত মসৃণ লাঠি এ খেলার উপকরণ। খেলোয়াড়রা কখনও এককভাবে, কখনও দ্বৈতভাবে সামনে, পেছনে, পাশে, মাথার ওপরে, দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে নানা কৌশলে ক্ষিপ্র গতিতে লাঠি ঘুরিয়ে এরূপ খেলা দেখায়। শক্তি ও শ্রমসাপেক্ষ এ খেলায় সুস্থ-সবল যুবকরা অংশগ্রহণ করে। উত্তরবঙ্গে ঈদ-পর্বের সময় গ্রামের যুবকরা চামড়িখেলা দেখায়। এতে পনেরো-বিশজন যুবক এক সঙ্গে লাঠি নিয়ে যুদ্ধের ভঙ্গিতে খেলা দেখায়; সঙ্গে থাকে  বাদ্যযন্ত্রএটি লাঠিখেলারই নামান্তর।