বর্শা নিক্ষেপ



বর্শা নিক্ষেপ : বর্শা নিক্ষেপের ইংরেজী হলো জ্যাভেলিন থ্রো। বর্শার দৈঘ্য পুরুষ ২.৬০-২.৭০ মিটার, মহিলাদের ২.২০-২.৩০ মিটার। বর্শার ওজন পুরুষদের ৮০০ গ্রাম, মহিলদের ৬০০ গ্রাম। রানওয়ে কমপক্ষে ৩৩.৫ মি: লম্বা ও ৪মি: চওড়া হবে। একটি বৃত্তচাপ অংকন করতে হবে। আর্কটি একটি কাঠ ধাতুর তৈরি বস্তু দ্বারা মাটির সমান্তরালে স্থপন করতে হবে। দুপাশে ১.৫০ মি: বাড়ানো থাকবে।
বর্শা নিক্ষেপের কৌশল : প্রথমে জ্যাভেলিন ধরা শিখতে হবে। কারণ ধরা ভালো হলে ছোড়াও ভালো হবে। ধরা তিন প্রকার-
ক. সামনের আঙ্গুল দিয়ে ধরা (Fore finger grip) :জ্যাভেলিনটি সামনের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরতে হয়।
খ. মধ্যম আঙ্গুল দিয়ে ধরা (Middle finger grip): মাঝের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরা।
গ. মধ্যম ও সামনের আঙ্গুলের মাঝখানে  দিয়ে ধরা (In between fore and middle finger) : সামনের আঙ্গুল ও মাঝের আঙ্গুলের মাঝখানে দিয়ে ধরা।
বহন করা : রানওয়ে দিয়ে দৌড়ে আসার সময় তিনভাবে জ্যাভেলিন বহন করা যায় ১. কাঁধের নিচ দিয়ে, ২. কাঁধের উপর দিয়ে, ৩. মাথা বরাবর । যার যেভাবে সুবিধা মনে হবে সে সেভাবে জ্যাভেলিন বহন করতে পারে। তবে উঁচু করে বহন করলে সুবিধা হয়।
জ্যাভেলিন ছোড়া : জ্যাভেলিন ছোড়ার সময় ৪টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়।
১. দৌড়ে আসা, ২. পাঁচ স্টেপের রিদম, ৩. নিক্ষেপ ৪. পূর্বের অবস্থায় ফেরা।
১. দৌড়ে আসা : বর্শা ধরে ছোড়ার জন্য রানওয়ে দিয়ে দৌড়ে আসা।
২. পাঁচ স্টেপের রিদম : ছোড়ার আগে রিদমের সাথে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়ে বর্শাটি নিক্ষেপ করতে হয়।
৩. নিক্ষেপ : ৫টি পদক্ষেপ নিয়ে বর্শা ছুড়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।
৪. পূর্বের অবস্থায় ফেরা (Recovery) : ভারসাম্য রক্ষার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে হয়।
বর্শা নিক্ষেপের নিয়মাবলি

১.বর্শাটি সেক্টরের মধ্যে পড়তে হবে এবং মাথা প্রথমে মাটি স্পর্শ করবে।
২. জ্যাভেলিন মার্কার স্পর্শ করে বা সামনের দাগ স্পর্শ করে নিক্ষেপ করা যাবে না ।
৩. নিক্ষেপের পর পাশের বাড়ানো রেখা অতিক্রম করা যাবে না।
৪. নাম ডাকার ৯০ সেকেন্ডের ভেতর নিক্ষেপ করতে হবে।
৫. টেপ দ্বারা দুই আঙ্গুলে পেঁচানো যাবে না।
৬. হাতে দস্তানা বা গ্লাভস ব্যবহার করা যাবে না ।
৭. শক্ত করে ধরার জন্য হাতে পাউডার জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা যাবে।